আজ শুক্রবার । কয়েকদিন আগে থেকেই আমার এলাকা থেকে যুবকদল একটি পরিকল্পনা করে আসছিল । তারা রমজান মাস উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীদের ইফতার করানোর কথা চিন্তা করে । এজন্য যে যা পারে সেকরম চঁাদা দেয় । আজ ইফতার ও দোয়ার মাহফিল উপলক্ষ্যে আমিও প্রস্তুতি নিতে থাকি ।
রমজান মাসে একটু আকটু দোয়া ও মিলাদ মাহফিল থাকে । আজ আমার পুরো পরিবার একটি দাওয়াতে গেছে । বাড়িতে একমাত্র আমি যে দাওয়াতে যায়নি । কারণ আমার আজকে এলাকাবাসীদের সাথে ইফতার এর কথা আছে । যে কথা সে কাজ । আমি পাঞ্জাবী পরে রওনা দিলাম মসজিদের উদ্দেশ্যে । গিয়ে দেখলাম সবাই ব্যস্ত আছে প্লেট সাজানো নিয়ে । আমি ও আমার বন্ধু সাওন মসজিদ থেকে একটু দূরে হঁাটতে বের হলাম কারণ ইফতারে আরো ৪৫ মিনিট দেরি আছে । যদিও আমি একটি বিশেষ কারণে রোজ বিকেলে হঁাটতে বের হই । সময় ঘনিয়ে এলো । আমি মসজিদে প্রবেশ করে ওযু করে নিলাম । সবাই সবার কাজে ব্যস্ত । ঈমাম সাহেব দোয়া শুরু করলেন । কয়েকজন বালক ইফতারের প্লেট সার্ভ করতে লাগলো ।
এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে ঈমাম সাহেব দোয়া করলেন । মনে হলো যেন তিনি খোদার কাছে থেকে রহমতের ভিক্ষা করলেন । ইসলাম ধর্মে দোয়ার অনেক গুরুত্ব রয়েছে । আমার এসব দোয়া-মাহফিলে যেতে অনেক ভালো লাগে। মনে হয় খোদা যদি কারো পূণ্য িববেচনা করে আমার পাপ মাফ করে দেন। যাই হোক আজান শুরু হলো । সবাই ইফতার করা শুরু করলো । আসলে রোজা থেকে ইফতারের উদ্দেশ্যে খাবার যখন সামনে থাকে তখন এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে । আমি খাবার বেশি খেতে পারি না । কিন্তু কী যেন মনে করে অনেকটা জোর করেই খেলাম । সবাই খাচ্ছে হয়তো তাই । মনে হলো যেন আজকে খাবার প্রতিযোগীতা হয়ে গেল ছোটদের মধ্যে । কেউ কেউ খেতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে চলে গেল । আমিও ইফতার শেষে নামাজ আদায় করে বের হলাম । আজ এই সন্ধ্যা আমার কাছে রহমতময় লাগলো । যেন এক অন্যকরম অনুভূতি ।
Thanks for reading. Feel free to send comments, questions, or recommendations to mortuzaahmmed@aol.com.