যেকোনো দুইটি বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় ভালোভাবে জানতে গেলে অন্যটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা সম্ভব হবে না। যেমন আপনি যদি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করেন তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে কী ঘটছে, কোন ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে আপনার ধারণা কম থাকবে। আবার আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া খুব ভালোভাবে ফলো করেন তবে আপনার পড়াশুনা ভালো হবে না। অর্থাৎ কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হলে অন্য একটি বিষয়ে ছাড় দিতে হয়। একই সাথে সকল কিছু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা সম্ভব নয়। এ বিষয়টিকে বলা হয় অনিশ্চয়তা। পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কমিয়ে আনলে, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বাড়বে। আবার সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কমিয়ে আনলে পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বাড়বে। এই অনিশ্চয়তা শুধুমাত্র আমাদের সামাজিক জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, প্রকৃতির গভীর বিষয়গুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা যায়।
তেমনই একটি অনিশ্চয়তা হচ্ছে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি। ১৯২৭ সালে জার্মান পদার্থবিদ Werner Heisenberg তার অনিশ্চয়তা নীতি প্রদান করেন। তিনি বলেন একই সময়ে কোনো বস্তুর সঠিক অবস্থান এবং ভরবেগ জানা সম্ভব নয়। কোনো বস্তুর অবস্থান নিশ্চিতভাবে জানা গেলে ভরবেগ জানা যাবে না। আবার ভরবেগ জানা গেলে অবস্থান জানা যাবে না।
সূত্রটি ছিলঃ
Δx Δp ≥ h / (4π)
সূত্রটি লক্ষ্য করুন অবস্থান ও ভরবেগের অনিশ্চয়তা সবসময় h/4π থেকে বড় অথবা সমান হবে। সহজ করে বললে শূন্য থেকে বড় হবে। কারণ h/4π শূন্যের খুব কাছাকাছি।
Thanks for reading. Feel free to send comments, questions, or recommendations to mortuzaahmmed@aol.com.